ইসলামে ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান
ইসলামে ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান রাখা ঈমানের ছয়টি মূল স্তম্ভের একটি এবং এটি মৌলিক বিশ্বাসের অন্তর্ভুক্ত। ফেরেশতাগণ হলেন আল্লাহর দ্বারা নূর (আলো) থেকে সৃষ্ট এমন সত্ত্বা, যাদের নিজস্ব ইচ্ছাশক্তি নেই। তারা সর্বদা আল্লাহর আদেশ পালন করে এবং কখনও অবাধ্য হয় না। ফেরেশতারা পাপ থেকে মুক্ত, মানুষের মতো নন এবং তাদের কোনো শারীরিক দেহ নেই। তাদের কোনো লিঙ্গ নেই এবং তারা খাদ্য ও পানীয়ের মতো মানবীয় প্রয়োজন থেকেও মুক্ত।
কুরআনে চারজন প্রধান ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে: জিবরাইল (ওহির ফেরেশতা), মিকাইল (প্রাকৃতিক ঘটনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা), ইস্রাফিল (সূর ফুঁকবেন), এবং আজরাইল (মৃত্যুর ফেরেশতা)। এছাড়াও কিছু ফেরেশতা রয়েছেন যারা মানুষের ভালো ও মন্দ কাজ লিখে রাখেন—তারা হলেন কিরামান কাতিবীন; এবং মুনকার ও নাকীর, যারা কবরের প্রশ্নের দায়িত্বে থাকেন।
ফেরেশতাদের প্রতি ঈমান রাখা ইসলামী বিশ্বাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আল্লাহর কুদরত (ক্ষমতা) ও হিকমত (জ্ঞান ও উদ্দেশ্য) বোঝার ক্ষেত্রে সহায়ক। ফেরেশতাদের প্রতি বিশ্বাস ঈমানের পূর্ণতা অর্জনের জন্য অপরিহার্য।